রোববার, ১৫ জুন ২০২৫ | ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিশেষ প্রতিবেদন

লম্বা ছুটিতে পর্যটনের পালে হাওয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক
১৩ ঘণ্টা আগে

কোরবানির ঈদে ১০ দিনের যে লম্বা ছুটি মিলেছে, তা উসুলে অনেকেই বেড়ানোকে বেছে নিয়েছেন। এই ছুটিতে দেশের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর বেশিরভাগ হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট পুরোপুরি বুক হয়েছে। এর মধ্যে ৭ থেকে ১৪ জুনে পর্যটক চাপ বেশি।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের ছুটিতে বিদেশে যাওয়া বা আউটবাউন্ড পর্যটকের সংখ্যাও অনেক। তবে ইনবাউন্ড বা বিদেশ থেকে আসা পর্যটক সংখ্যা তেমন বাড়েনি।

অভ্যন্তরীণ গন্তব্যের মধ্যে বেশিরভাগ মানুষ গেছেন কক্সবাজারে। কেউ কেউ আবার হাউজবোটে হাওরের জলাভূমি চষে বেড়াচ্ছেন। সিলেটের মনোরম চা বাগান ঘুরছেন অনেকেই।

খাগড়াছড়ি হয়ে রাঙামাটির সাজেকও বেছে নিয়েছেন কেউ কেউ। তবে দেশের অন্যতম পর্যটন আকর্ষণ সুন্দরবন ও সেন্টমার্টিন ভ্রমণ বন্ধ থাকায় চাইলেও যেতে পারেননি কেউ।

ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আবু ইউসুফ ঈদ কাটিয়েছেন কক্সবাজারে। তিনি বলেন, ঈদে কয়েকবার সেন্টমার্টিনে গিয়েছিলাম। এবার সেটি বন্ধ। তাই কক্সবাজারে ঈদ কাটিয়ে ফিরে এসেছি। সেখানে মানুষের ভিড় প্রচুর।

আর টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যাওয়া ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন বলেন, আমরা পাঁচজন বন্ধু মিলে গিয়েছিলাম ঘুরতে। ঈদে টাঙ্গুয়ার হাওরে রাত কাটিয়েছি। বৃষ্টি আর চারপাশে থৈথৈ পানির মধ্যে এ এক অদ্ভূত শিহরণ!

এবারের কোরবানির ঈদ ঘিরে ৫ থেকে ১৪ জুন একটানা দশ দিনের ছুটি দিয়েছে সরকার। আর তা অনুসরণ করছে ব্যাংক, এনজিওসহ অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

বড় দুই গন্তব্য বন্ধ, তবু চাঙ্গা পর্যটন

পর্যটন খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের সংগঠন ই-ট্যুরিজম অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ট্যাব) সভাপতি ইমরানুল আলম বলেন, ঈদে এবার লম্বা ছুটি পাওয়াতে যেসব পর্যটন কেন্দ্রগুলো খোলা আছে, সেখানে ভালো বুকিং পাওয়া গেছে। এখন ভালো চাপও আছে। বাংলাদেশে তো বর্ষাকালে গন্তব্য কমে যায়, শীতকালে তো একদম মৌসুম থাকে, এখন তো সুন্দরবন, সেন্টমার্টিনের মতো বড় দুটি গন্তব্য বন্ধ। এ কারণে পর্যটনের জন্য খুব ভালো সময় যাচ্ছে- এমন না। তবে যেহেতু লম্বা একটা ছুটি এবারের ঈদে, সেজন্য যেসব গন্তব্য এখন খোলা আছে- সেগুলোতে প্রচুর মানুষ গিয়েছেন। ঈদে পর্যটকের ঢল নামলেও তার পরের দুই সপ্তাহ তেমন চাপ নেই বলে জানালেন ইমরানুল।

তিনি বলেন, এখন প্রচুর মানুষ আছে, একটা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে এর। ধরেন টাঙ্গুয়ার হাওর দিয়ে যদি উদাহরণ দিই, গত ঈদের ছুটির পরেও কম-বেশি চাপ ছিল। এবার যেটা দেখলাম, ১৩ তারিখ পর্যন্তই পর্যটকদের চাপটা আছে; অর্থাৎ ছুটি পর্যন্ত। এরপর আবার একেবারেই চাপ নেই জুন মাসটায়।

ইমরানুল জানালেন, সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে দেড়শটির মতো হাউজবোট আছে। ঈদের ছুটির প্রায় সবদিনে এসব যান বুক রয়েছে। এছাড়া দেড়শটি সাধারণ নৌকা আছে, সেখানেও মানুষ ঘুরতে যাচ্ছে। কমপক্ষে ৩০০টির মতো নৌকা প্রতিদিন যাচ্ছে। গড়ে ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন হাওরে ঢুকছে।

অন্যদিকে কক্সবাজারেও অন্তত পাঁচ লাখ মানুষের আনাগোনা হচ্ছে বলে ধারণা তার। ইমরানুল বলেন, সাজেকে আগুন লাগার পর সেটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। অনেকে এখনো ফোন দিয়ে জানতে চায়, সাজেক খুলেছে কি না। সে কারণে অতো বেশি চাপ নেই সেখানে। যেহেতু রিসোর্টের পরিমাণও অর্ধেক হয়ে গেছে। অল্প মানুষ যাচ্ছে; যেখানে আগে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার মানুষ যেত, এখন হয়ত এক হাজার যাচ্ছে।

কক্সবাজারেই ৫-৬ লাখ

কক্সবাজারের কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল-রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জানান, টানা ছুটিতে কক্সবাজারে অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লাখ মানুষ গিয়েছেন, যারা সেখানে অবস্থান করেছেন। এর বাইরে অনেকেই দিনের দিন ঘুরে ফিরছেন। মুকিম বলেন, গত মঙ্গলবার কক্সবাজারে শতভাগ হোটেল, মোটেলে পর্যটক ছিল। বুধবারেও আছে, বৃহস্পতিবার থেকে কিছুটা কমবে আস্তে আস্তে। যেহেতু ছুটি শেষ হয়ে আসছে। ৮ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ থেকে ছয় লাখ লোক কক্সবাজারে আসবে, যারা অবস্থানও করবে। আর এমনি চট্টগ্রাম বা আশপাশের এলাকাগুলো থেকে যারা দিনে এসে দিনে ফিরে যান, তাদের সংখ্যা ধরলে অনেক বেশি হবে।

কক্সবাজার সৈকতে নেমে এবার বেশ কয়েকজন পর্যটকের প্রাণহানির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, আমাদের পর্যটকদের মধ্যে সচেতনতার অভাব আছে। অনেকেই সাঁতার না জেনে দৌড়ে এসে সৈকতে নেমে যায়। পরে ঢেউয়ের তোড়ে অনেক সময় এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয়ত পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষের যে ধরনের দায়-দায়িত্ব পালন করা দরকার, সেটা ঠিকমতো হচ্ছে না। এখানে পর্যাপ্ত পরিমাণ লাইফ গার্ড থাকতে হবে, পর্যটকরা হঠাৎ করে এসে যাতে না নামে, তাদের সচেতন করার জন্য বিলবোর্ড স্থাপনসহ অন্যান্য যে নির্দেশনা দেওয়া দরকার সেটা বাড়াতে হবে।

টাঙ্গুয়ার হাওরে ‘ঢল’

গেল কয়েক বছরে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওর অন্যতম পর্যটনকেন্দ্রে রূপ নিয়েছে। সেখানে হাউজবোটে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থাও রয়েছে। এই নৌকায় খাওয়া-দাওয়া থেকে বিনোদনের অনেক ব্যবস্থা রয়েছে। ফলে সুযোগ পেলেই অনেক ব্যাগ গুছিয়ে ছুটে যান সেখানে।

হাওরের হাউজবোট অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নাইমুল হাসান বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর পানিতে পরিপূর্ণভাবে ভরে গেছে। আর ঈদে যেহেতু এবার একটা লম্বা ছুটি পাওয়া গেছে, তো পর্যটকদের একদম ঢল নেমেছে বলা যেতে পারে। আমাদের এখানে সকল প্রকার হাউজবোট, লোকাল বোট, এমনকি মাছ ধরার ট্রলার পর্যন্ত পুরোপুরি বুকিং হয়ে আছে। সপ্তাহজুড়েই টাঙ্গুয়ার হাওর পরিপূর্ণ এবং মানুষজন আসছে।

কিছু হাউজবোটে পর্যটকদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও উটঠে, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, যেটা হয়েছে, যেহেতু টাঙ্গুয়ার হাওর একটা নতুন বিকশিত পর্যটন কেন্দ্র, গত তিন-চার বছরে এটা প্রচুর আলোচনায় চলে এসেছে, এজন্য অনেকেই এখানে এসে বোট বানিয়ে ফেলেছে। এ বছর থেকে আমরা আমাদের সংগঠন এবং প্রশাসনের সহায়তায় কিছুটা লাগাম টেনে ধরেছি। যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, সেগুলো অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য নয়- এমন বোটগুলোতে ঘটেছে। যেহেতু তাদের কোনো নিয়মনীতি মানতে হয় না, এজন্য ঘটনাগুলো ঘটছে। আমরা এজন্য আগত পর্যটকদের জন্য প্রচারণা বাড়িয়েছি, যাতে তারা অ্যাসোসিয়েশন এবং সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের তালিকাভুক্ত বোটগুলোতে ভ্রমণ করেন।

নাইমুল বলেন, বিগত এক সপ্তাহে আনুমানিক ৮০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকার মতো এখানে লেনদেন বা ব্যবসা হয়েছে। আর পুরো মৌসুমে সবমিলিয়ে ৫০০ কোটি টাকার একটা ব্যবসা হয়। এর মধ্যে ৬০ শতাংশ টাকা এখানেই থাকে, আর ৪০ শতাংশের মতো অর্থ হয়ত ঢাকায় বিনিয়োগ রিটার্ন হিসেবে যায়।

তার ভাষ্য, হাউজবোটের ব্যবসা ঘিরে কমপক্ষে ১ হাউজার ৫০০টি পরিবারের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে। এটা প্রত্যক্ষভাবে, অর্থাৎ যারা বোটে কর্মচারী হিসেবে কাজ করছে। আর আমরা যেখান থেকে বাজার করি, মাছ কিনি, ফুয়েল কিনি, অর্থাৎ, পরোক্ষভাবে সংখ্যাটা প্রায় তিন থেকে পাঁচ হাজার হবে।

মন্দ নয় আউটবাউন্ড পর্যটন ব্যবসা

অভ্যন্তরীণ পর্যটনের সঙ্গে দেশের বাইরে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা বা ব্যবসাও একেবারে মন্দ নয়। অ্যাসোসিয়েসন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব) সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, অভ্যন্তরীণ পর্যটন একদম পিক অব দ্য পিক এখন। আন্তর্জাতিক পর্যটন গন্তব্যেও যেসব জায়গার ভিসা পাওয়া যাচ্ছে, সেগুলোতেও বেশ ভালো বুকিং হচ্ছে। এই ১০ দিনের মধ্যে টিকেট নেই।

উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, মনে করেন, ব্যাংককে যদি টিকেট খোঁজেন, এক লাখ ১০ হাজার টাকা; যে টিকেট স্বাভাবিক সময়ে দাম হলো ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। মানে একদম ভরপুর। শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, কুয়ালালামপুর, সিঙ্গাপুরেও একই অবস্থা। ইন্দোনেশিয়ায় সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় কী পরিমাণ মানুষ যাচ্ছেন, সেটি আন্দাজ করা কঠিন। সেখানে ভিসা পেতেও অনেক সময় লাগে। তবে আন্তর্জাতিক গন্তব্য কমে যাওয়ায় দুই বছর আগের তুলনায় পর্যটক যাওয়া কমেছে।

আটাব সভাপতি বলেন, আমাদের গন্তব্য কমে যাওয়ার কারণে বিশেষ করে ভিয়েতনাম বন্ধ, ভারত বন্ধ, দুবাই বন্ধ; সেখানে অনেক মানুষ ব্যবসায়ী এবং পর্যটক যাওয়া-আসা করত। উজবেকিস্তান বন্ধ, মিশরের ভিসা রেস্ট্রিক্টেড। এসব কারণে এসব গন্তব্যে লোকজনের কম যাওয়া হয়েছে। এবং আন্তর্জাতিক গন্তব্যে যে পরিমাণ যাত্রী যায়, সে পরিমাণ যাত্রী কিন্তু যায়নি। এসব গন্তব্য খোলা থাকা বছরগুলোর তুলনায় সবমিলিয়ে ৪০ শতাংশ পর্যটকের যাতায়াত কমেছে।

ইনবাউন্ড পর্যটনে মন্দা

আউটবাউন্ড ব্যবসা ভালো হলেও ইনবাউন্ড বা বিদেশ থেকে বাংলাদেশে ঘুরতে আসা পর্যটকের সংখ্যা একেবারেই কম বলে ভাষ্য ট্যুর অপারেটর্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি মো. রাফেউজ্জামানের।

তিনি বলেন, কক্সবাজার, কুয়াকাটা, সিলেট যেকোনো গন্তব্যে আপনি রমরমা পাবেন, কারণ এখানে মানুষ সরাসরি বিটুসি (ব্যবসায়ী-ভোক্তা) পদ্ধতিতে যায়, ট্যুর অপারেটরদের মাধ্যমে খুব কম মানুষই যায়। আমরা বেশি সম্পৃক্ত থাকি যেটা ইনবাউন্ড ট্যুরিজমে, যেটাতে বিদেশ থেকে পর্যটকরা আসে বেড়াতে- এটা আমাদের মাধ্যমে শতভাগ করে কিংবা আউটবাউন্ড ট্যুরিজমও আমাদের মাধ্যমেই বৃহদাংশ করে থাকে। বাংলাদেশে এই দুটো ট্যুরিজম এখন বেশি বেগবান নয়। এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাফেউজ্জামান বলেন, ইনবাউন্ড ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতাটা খুব বেশি প্রভাব ফেলে। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে এটা খুব বেশি প্রভাব ফেলে না। আরেকটি কারণ হচ্ছে, অনেক দেশেই আমাদের দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে ট্রাভেল অ্যাডভাইজরি আরোপ করা আছে। সেখানে বীমা কাভার করা হয় না। সেটি না থাকলে আবার পর্যটকরা আসতে চায় না। অনেক দেশে আবার বাংলাদেশ ভ্রমণে রেড, ইয়লো অ্যালার্ট দেওয়া। এজন্য অনেক বিদেশি বাংলাদেশে আসতে চায় না। আর আউটবাউন্ড ট্যুরিজমে বা যারা দেশের বাইরে বেড়াতে যান, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ভিসার ব্যাপারটা বেশ সংকুচিত হয়ে আসছে। অনেক দেশেই ভিসা দেওয়া বন্ধ, আবার অনেক দেশে অনেক সীমিত। সে কারণে অনেক মানুষ বেড়াতে যেতে পারেননি।

সাজেকের ৯১ কটেজ অক্ষত

গেল ২৪ ফেব্রুয়ারি সাজেকে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড অন্তত ৩৫টি কটেজ পুড়ে ভস্মীভূত হয়। আশপাশের বাড়িঘর ও বেশ কিছু স্থাপনারও ক্ষয়-ক্ষতি হয় আগুনে। ফলে ঈদে বুকিং বাড়লেও ঠিক আগের অবস্থায় ফিরতে পারেনি অন্যতম এই পর্যটনকেন্দ্র।

কটেজ অ্যান্ড রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব সাজেকের সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, এবারের ঈদে বেশ ভালোই লোকজন এসেছে। এখনো চলছে। যদিও এবার অনেক জায়গায় রুম পাওয়া যায়নি বা ওভারফ্লো হয়েছে। আড়াই থেকে তিন হাজার পর্যটক এসেছে কটেজগুলোতে। এর বাইরেও অনেকেই এসেছে। অনেকেই ভাবছে যে সাজেকে মনে হয়, আর রিসোর্ট নেই। কিন্তু, এখনো ৯১টি কটেজ অবশিষ্ট আছে। সেটা অনেকেই জানেন না। আমাদের ১২৬টি কটেজ ছিল।

তিনি বলেন, যে রিসোর্টগুলো পুড়ে গেছে, সেগুলোর ঘাটতি তো এখনও বইতে হচ্ছে। এগুলো ঠিক করা গেলে আরও বেশি মানুষজন আসতে পারবে বা ঘুরতে পারবে। এখনো ৩৫টি রিসোর্ট তুলতে পারিনি। এগুলো তাড়াতাড়ি তোলা গেলে আরও ভালোভাবে ব্যবসা করতে পারতাম। আর যারা ভুক্তভোগী আছে, তারা আসলে অনেক কষ্টে আছে। এদের নিয়ে সরকার ভাবলে পরিস্থিতি আরও উন্নত হত, আরও পর্যটক আসত।

বরিশাল: পর্যটনশিল্পের নতুন সম্ভাবনা
যে কারণে কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকের মৃত্যু ঠেকানো যাচ্ছে না

আপনার মতামত লিখুন